গাইবান্ধায় আলু চাষে বাম্পার ফলন,দাম নিয়ে বিপাকে কৃষক 

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

শহিদুল ইসলাম খোকন

উত্তরে আলুর ভাণ্ডার খ্যাত গাইবান্ধা এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। অতীতের চেয়ে এবার আলুর উৎপাদন অনেক বেশি হলেও ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা।  জেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলার সাত উপজেলা সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, গাইবান্ধা সদর, গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী, ফুলছড়ি ও সাঘাটায় এ বছর ১০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উফশী জাতের আলুর চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৫১০ হেক্টর ও দেশি জাতের আলু ৭৫০ হেক্টরসহ ৮ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯.৮১ মেট্রিকটন।

আলু চাষিরা জানান, জমি থেকে আলু তুলতে শ্রমিকদের খরচ বহন করতে হিমশিম খেতে হয়। এছাড়া জেলার বাইরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় স্থানীয় মধ্যস্বত্ব ভোগীদের কাছে আলু বিক্রয় করতে হয়।ফলে কৃষকের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্ব ভোগী আলু ব্যবসায়ীরা।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আলু চাষি গোলাম রাব্বানী জাতীয় দৈনিক আমাদের কন্ঠে বলেন, হঠাৎ বাজারে আলুর দাম কমে যাওয়ায় তেমন লাভ হচ্ছে না। গত কয়েকদিন আগেও প্রতি বস্তা (৮০ কেজি) আলু প্রকার ভেদে ২৮শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা বস্তা বিক্রি হয়েছে। এখন আলু বিক্রয় হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকা বস্তা।

একই এলাকার আলু চাষি আল আমিন মিয়া  বলেন, দুই বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি, এখনো আলু তোলা শেষ হয়নি, সম্পূর্ণ আলু তোলার পর বোঝা যাবে লাভ ক্ষতি। অনেক আলু চাষি তাদের জমি থেকে সরাসরি  আলু ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করায় তেমন একটা লাভ করতে পারচ্ছেন না।

আলু চাষি ছানোয়ার মিয়া বলেন, এক বিঘা জমিতে ২০ বস্তা (৪০ মন) আলু উৎপাদন হয়। বিঘাপ্রতি খরচ হয় ২০ হাজার টাকার উপরে। আর ২০ বস্তা আলু বিক্রি হয় ১৬-১৭ হাজার টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি ৪/৫ হাজার টাকা ক্ষতি ।

পুরাতন বাজারের মধ্যস্বত্ব ভোগী আলু ব্যবসায়ী ফারুক  মিয়া বলেন, আমরা কৃষকের জমি থেকে কম দামে আলু কিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করি। এখানে শ্রমিকদের খরচ দিয়েও মোটমুটি ভালোই লাভ হয়।

গাইবান্ধা  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, এবার গাইবান্ধা  আবহাওয়া অনুকূলে থাকা ও শৈত্যপ্রবাহ কম হওয়ায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কৃষকদের কাছে গিয়ে আলুর ফলন বৃদ্ধি করতে পরামর্শ দিয়েছে। আগামীতেও লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখতে ও আলু চাষ বাড়াতে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে কৃষি বিভাগ। আলুর বেশি উৎপাদনের জন্য কৃষকদের নিয়ে উঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হবে।

 

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement
Advertisement