মো: আকরাম হোসেন ,নরসিংদী
নরসিংদীর রায়পুরায় নিজ সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে শিরিনা বেগম নামে এক মা। শনিবার (১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ মির্জানগরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর নাম আনাছ মিয়া (৩)। সে ওই এলাকার সৌদি প্রবাসী ডালিম মিয়ার ছেলে। এ ঘটনার পর নিখোঁজ মা শিরিনা বেগমকে রবিবার (২ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে আটক করেছে এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানায়, পাঁচ বছর আগে একই উপজেলার হাইরমারা গ্রামের শিরিনা বেগমকে বিয়ে করেন ডালিম মিয়া। বিয়ের তিন বছর পর জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে পাড়ি জমান তিনি। এরপর শিরিনা তাদের একমাত্র সন্তান আনাসকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করছিলেন। শনিবার রাতে নিজ ঘরে আনাছকে কুপিয়ে হত্যার পর পালিয়ে যান শিরিন বেগম। এ সময় পাশের কক্ষে তারাবির নামাজ আদায় করছিলেন শিশুটির দাদি। চিৎকার শুনে ছুটে এসে তিনি নাতির রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান।
এ ঘটনার পর রবিবার (২ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে ঘাতক মা শিরিনা বেগমকে একই ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামে রেললাইনের পাশে বসে থাকতে দেখে আটক করে জনতা এবং ছেলেকে হত্যার কারণ জানতে চায়। এসময় সে কিছুই বলে না, শুধু মাথা নইয়ে রাখে। পরে এলাকাবাসী তাকে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে।
এ ব্যাপারে শিরিনা বেগমের শ্বশুর ও নিহত আনাছের দাদা রহম আলী বলেন, আমার ছেলের বউ এর মাথায় কিছু সমস্যা রয়েছে। আনাছের জন্মের পর থেকেই তার মা তাকে মারধর করতো। সে কারণে আমরাই আনাছকে লালন পালন করে বড় করেছি। তার মায়ের কাছে বেশি দিতাম না। গতরাতে আমার নাতিকে আদর করে ঘুম পাড়িয়ে নামাজে যাই। পাশে বসা ছিল তার মা। পরে জানতে পারি আমার নাতিকে কুপিয়ে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। রাতে আর তাকে খোঁজে পাওয়া যাইনি। সকালে এলাকাবাসী তাকে আটক করে খবর দিলে আমরা ছুটে আসি।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযুক্ত মাকে আটক করা হয়েছে।