বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা বলেছেন নামাজ রোজার মতই যাকাত আদায় করাও ফরজ ইবাদত। একজন মুসলমান হিসেবে নামাজ ও রোজার ফরজ বিধানকে আমরা সঠিকভাবে পালন করলেও যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে আমাদের সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। অথচ দারিদ্র্যতা দুর করতে যাকাত ভিত্তিক অর্থ ব্যব¯’ার বিকল্প নেই। যাকাত হলো সম্পদের পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধি অর্জন করার সর্বোত্তম পন্থা এবং এটা দরিদ্র ও হতবঞ্চিতদের হক। এই হক তাদের কাছে নির্ধারিত নিয়মে পৌঁছানো জর”রি। পবিত্র কুরআনে যেখানে আল্লাহর পক্ষ থেকে নামাজের কথা বলা হয়েছে, সাথে সাথেই যাকাতের কথাও সেখানে বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে যাকাত প্রদানের ৮টি খাত রয়েছে। সুতরাং সম্পদশালী ব্যক্তিকে ঈমানদার হতে গেলে অবশ্যই তার সম্পদের যথাযথ হিসাব করে নির্ধারিত যাকাত দিতে হবে। যাকাত ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মধ্যেই আর্ত-মানবতার অর্থনৈতিক মুক্তি রয়েছে। আর ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই যাকাত ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। তিনি সাহেবে নেসাব গনকে রমজানের শুর”তেই যাকাত আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত বন্দিগীতে আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান।
তিনি বুধবার দুপুরে তার কার্যালয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত দারিদ্র বিমোচনে যাকাতের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক শাফিজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বগুড়া পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেজবাউল করিম। আরো বক্তব্য রাখেন ড. মুনিরুজ্জামান ইউসুফী, ইমাম মুয়াজি¦ন সমিতির সভাপতি মুফতি মাওলানা আব্দুল কাদের, ওলামা মাশায়েখ পরিষদ বগুড়ার সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাদের, কলামিস্ট মুস্তাকিম হোসাইন। আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি যাকাত গ্রহণ করেন ও দুস্থদের মাঝে যাকাত প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক পুরো রমজান মাস জুড়ে প্রতিদিন যাকাতের অর্থ গ্রহণ করবেন।