পুরনো ব্যান্ডরোলের সিগারেট নতুন দামে বিক্রি , রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

হারুন-অর-রশিদ বাবু, রংপুর:

বাংলাদেশের সিগারেট ও বিড়ি শিল্পে সরকার নির্ধারিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির পরও ব্যাপক অনিয়ম ও কর ফাঁকি চলছে। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, কিছু ব্যবসায়ী পুরনো ব্যান্ডরোল যুক্ত সিগারেট নতুন দামে বিক্রি করে ,সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। একই সাথে, বিড়ি শিল্পেও জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহারের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এ সব অনিয়মের বিরুদ্ধে কাস্টমস বিভাগ কর্তৃক কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায়, সরকারের রাজস্ব আয়ের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

২০২৫ সালের শুরুতে সরকার সিগারেটের ভ্যাট বৃদ্ধি করলেও, বাজারে এখনো পুরনো ব্যান্ডরোল যুক্ত সিগারেট নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, গোল্ডলিফ, বেনসন, লাকি, ডারবি, স্টার এবং রয়েল সিগারেট প্রতি প্যাকেট ১০-৪০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে সরকার নির্ধারিত ভ্যাট আদায় হচ্ছে না, অথচ ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লাভ করছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, অনেক বিদেশি সিগারেট কোম্পানির এজেন্টরা এ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। তারা পুরনো ব্যান্ডরোল যুক্ত সিগারেট নতুন দামে বিক্রি করে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। কাস্টমস কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এসব ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে এই অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছে।

রংপুর অঞ্চলে ২০০টিরও বেশি ক্ষুদ্র বিড়ি ফ্যাক্টরি আছে, এই মালিকগণ উৎপাদন পরিকল্পনা কম দেখিয়ে কম ব্যান্ডরোল সংগ্রহ এবং বেশি বিড়ি উৎপাদন করছে। উৎপাদিত বেশি বিড়ি জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে বাজারে বিক্রি করছে। কাস্টমস অফিসে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এই অনিয়ম চলছে বলে সূত্র জানিয়েছেন। যা সরকারের রাজস্ব আয়ের ক্ষতি করছে। কাস্টমস বিভাগ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। সিগারেট ও বিড়ি শিল্পে এ ধরনের অনিয়ম চিহ্নিত করার জন্য কোনো বিশেষ অভিযান বা পর্যবেক্ষণ পরিচালনা করা হয়নি। এমনকি সাংবাদিকদরা যোগাযোগ করতে গেলে, কাস্টমস কর্মকর্তারা কথা বলতেও চাননি। এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকার এখনো কোনো শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। কাস্টমস ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তবে এই ফাঁকি ও অনিয়মের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

সরকারের ভ্যাট বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্য ছিল রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, তবে পুরনো ব্যান্ডরোলের সিগারেট বিক্রি ও জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহারের মাধ্যমে বিড়ি ব্যবসায়ীরা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। কাস্টমস বিভাগের দুর্নীতি এবং অপর্যাপ্ত তদারকি এই অনিয়মের মূল কারণ। সরকারি কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তবে রাজস্ব হারানোর প্রবণতা আরও বাড়বে এবং ভোক্তারা প্রতারিত হবে।

 

 

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement
Advertisement