মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
রাজনগরে ১৪৩২-১৪৩৪ মেয়াদে “হারিউন বিল” (বদ্ধ), লীজ প্রদানে জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটিতে অনুমোদিত : জলমহাল নীতিমালার সকল শর্ত পূরণ করায় চুক্তিপত্র সম্পাদনক্রমে জলমহালের দখল বুঝে নেওয়ার জন্য আশার আলো মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড-এর সভাপতি মো: জসিম মিয়াকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
গত ১১ মার্চ রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফরোজা হাবিব শাপলা স্বাক্ষরিত (স্বারক নং- ০৫.৪৬.৫৮৮০.০০৪.০২.০০১.২৪-১৯৫, তারিখ : ১১/০৩/২০২৫ইং)। এবারের সর্বমোট ইজারামূল্য ও অন্যান্য করাদি নির্ধারণ করা হয়েছে ২,৬৪,৩৭৫/-টাকা।
জানা গেছে- “হারিউন বিল” (বদ্ধ) বিল লীজ নেয়ার জন্য গঙ্গা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড,কাশিমপুর যুব মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড ও আশার আলো মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড অংশ গ্রহণ করে। যাচাই-বাছাই শেষে আশার আলো মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড-এর সকল কাগজাত সঠিক ও ইজারা সংক্রান্ত সরকারের নীতিমালা ও বিধান সমুহ পূরণ করায় জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। জানা গেছে- বিগত ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগীরা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ বছর যাবৎ জলমহালটি দখলে রাখা হয়েছিল। বঞ্চিত হয়েছেন স্থানীয় মৎস্যজীবিরা। জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি, ২০০৯ অনুযায়ী জলমহাল ইজারার ক্ষেত্রে ‘জাল যার, জলা তার’ নীতির আলোকে প্রকৃত অর্থেই যারা মৎস্যজীবী পেশায় নিয়োজিত তাদের মাঝে জলমহাল ইজারা দেওয়ার কথা বলা রয়েছে। কিন্তু এখানে প্রকৃত মৎস্যজীবিদের ইজারায় অংশ গ্রহন করতে দেয়া হতো না। এতে মৎস্যজীবিরা বঞ্চিত হওয়ার পাশা-পাশি সরকারের কাঙ্খিত রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়নি।
সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে- লীজ গ্রহীতা কোনো মৎস্যজীবী সংগঠন/সমিতি তাদের নামের জলমহাল কোনো অবস্থাতেই সাবলিজ অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি/গোষ্ঠীকে হস্তান্তর করতে পারবে না। যদি তা করে থাকে তাহলে লিজ বাতিলসহ জমাকৃত লিজের টাকা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করবেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশার আলো মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড-এর সভাপতি মো: জসিম মিয়াসহ একাধিক লোকজন বলেন- সমবায় আইনে কোন ব্যবসায়ী ও চাকুরীজীবি মৎস্যজীবি সমিতির সদস্য হইতে পারবে না। কাশিমপুর যুব মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির জেলে কার্ড নেই এবং প্রকৃত মৎস্যজীবি নয়। ৪নং সদস্য নিপুল মৎস্য দাস, মৌলভীবাজার জেলা অটো রিক্সা, রেজি নং- চট্ট-২৩৫৯ এর ভোটার নং- ১২০, এবং ৫নং সদস্য পরিমল মৎস্য দাস, মৌলভীবাজার জেলা অটো রিক্সা, রেজি নং-চট্ট-২৩৫৯ এর ভোটার নং- ৮৬, বর্তমানে সিএনজির ড্রাইভার (আব্দুল্লাহপুর-০২ মৌলভীবাজার স্ট্যান্ড) যাহা সমবায় আইন ও বিধির পরিপন্থী।
এছাড়া উক্ত সমিতির ৭নং সদস্য সুশেন মৎস্য দাস আব্দুল্লাহপুর বাজারে মুদি দোকানের মালিক । গঙ্গা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর ৪নং সদস্য রিপন নমঃ শুদ্র অ-মৎস্যজীবি, ৬নং সদস্য সুমন সরকার চাকুরীজীবিসহ বিভিন্ন লোকজন দিয়ে নাম মাত্র লীজ দেয়া হতো। সমিতির সভাপতি হিসাবে রয়েছেন- সুধাংশু নম : শুদ্র, সহ-সভাপতি নিপেন্দ্র নম ঃ শুদ্র, সম্পাদক নিরোঞ্জন নমঃ শুদ্র, সদস্য- সুশীল সরকার, অলক সরকার ও কান্ত নম ঃ শুদ্র। এ বছর ও তাদের দলের বিভিন্ন কর্মকান্ডে ব্যবহার করার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগীরা উক্ত বিল ইজারা নেয়ার জন্য জোর তদবির করে আসছে।