সাভারের সম্পত্তি নিয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন 

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

তৌকির আহাম্মেদ,সাভার:

সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে আপন ভাই ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের দুই সদস্য ও একজন জমি ব্যবসায়ী। আজ দুপুরে সাভার জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তব্যে সাজ্জাদ হোসেন খান ও তার বোন তানজিম নূর বলেন, তাদের বাবা মোহাম্মদ হোসেন খান ২০২৪ সালে মারা যান। এরপর সাভারের হেমায়েতপুরের প্রায় ৬০০ শতাংশ জমির ওয়ারিশান হন তিন ভাই-বোন ও মা। তাদের অপর ছোট ভাই শাহাদাৎ হোসেন খান ও মা রাবেয়া বেগম সম্পত্তির ওয়ারিশ হওয়ার পরেও কাগজ জালিয়াতির মাধ্যমে শাহাদাৎ হোসেন খান সম্পত্তি বিক্রির পায়তারা চালায়। মাসহ অন্যান্য ভাই-বোনের সম্মতি না থাকায় শাহাদাৎ সম্পত্তি বিক্রি করতে পারেনি। একারণে সাজ্জাদ হোসেন খান, তার বোন তানজিম নূর ও মা রাবেয়া বেগমকে বিভিন্ন প্রকার অত্যাচার করে সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করেন। তাদের উপর বিভিন্ন সময় হুমকি ও শারীরিক নির্যাতনের কথাও জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

তারা আরো জানান, হেমায়েতপুরের ও মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকার রকিব হোসেন (৩০) রাসেল (২৬), শহিদুল (৫২), রতন শেখ (৪০), ওয়াহিদুর রহমান (৪৬),  অপু (৩২), সালামসহ আরো লোকজন ভাই শাহাদাৎ হোসেনের সাথে জড়িত হয়ে সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। প্রাণভয়ে সাজ্জাদ হোসেন, তানজিম নূর ও তাদের সন্তান,ম্যানেজার, কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।

সাভারের হেমায়েতপুরের জমি ব্যবসায়ী বাদল খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মোহাম্মদ হোসেন খানের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন খান আমার নিকট হেমায়েতপুরের প্রায় ৬০০ শতাংশ জমি বিক্রি করবে বলে ৭০ লক্ষ টাকা নেয় এবং বায়নানামা করেন। কথা ছিল তারা সকল ওয়ারিশান মিলে আমাকে জমি রেজিস্ট্রি করে দেবেন। পরে জানতে পারি তার ভাই, বোন ও মা সম্পত্তি বিক্রিতে রাজি নন। এমতাবস্থায় আমাকে বিগত দুই বছর সম্পত্তি রেজিস্ট্রি না করে দিয়ে হয়রানী ও অপপ্রচার করে আসছে।

বাদল খান আরো জানান, রকিব হোসেন (৩০) রাসেল (২৬), শহিদুল (৫২), রতন শেখ (৪০), ওয়াহিদুর রহমান (৪৬),  অপু (৩২), সালামসহ আরো লোকজন তার আল মদিনা হাউজিং প্রকল্পে ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে।  দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে সম্পত্তি থেকে প্লট বিক্রয় করতে দেবে না বলে হুমকি প্রদান করে। এর জেরে গত ১৭ মার্চ দুপুরে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী হাউজিংয়ের সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করে বাদল খানের অফিসে থাকা তার ছোট ভাই আতিকুল আলম (২৯), কেয়ারটেকার আব্দুল মজিদের (৪০) কাছে চাঁদা দাবী করে। এতে অস্বীকৃতি জানালে তারা হাউজিংয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় এবং বিভিন্ন প্লটের মালিকদের নামে স্থাপিত সাইনবোর্ড এবং অফিসে ও গেইটে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা ভাংচুর করে প্রায় বিশ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে।

পরবর্তীতে ১৮ মার্চ শহিদুলের নেতৃত্বে ও তারা হাউজিংয়ের ভিতর এসে অফিসের দরজায় লাগানো তালা ভেঙ্গে ভেতরে ভাংচুর চালায়। এ সময় সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান আসবাবপত্র লুট করে তারা।

বাদল খান দাবী করেন, মোহাম্মদ হোসেন খানের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন খানের সাথে সম্পত্তি ঘটিত বিষয়ে পরপর এসব ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আইনগতভাবে এই পরিস্থিতির অবসান চান। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা সাভার মডেল থানায় একাধিক অভিযোগ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে শাহাদাৎ হোসেন খানের সাথে কথা বলতে সংবাদ সম্মেলন থেকে মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করা হয়। তিনি কল কেটে দেন।

 

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement
Advertisement