অর্ধশত বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি লোন্দা দাখিল মাদ্রাসায়

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

এস এম আলমগীর হোসেন, কলাপাড়াঃ

প্রায় অর্ধশত বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি লোন্দা দাখিল মাদ্রাসায়। জরাজীর্ন ভবনে শ্রেনী কক্ষের অভাবে পাঠদানে ব্যহত। নেই প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, আধুনিক শিক্ষার বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, শৌচাঘর, ছাত্রীদের কমনরুম। এমনকি বিশুদ্ধ পানি পানের জন্য গভীর নলকুপও নেই। যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ পাকা সড়কের অভাবে বর্ষা মৌসুমে সময়মত মাদ্রাসায় যেতে পারেনা শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। উত্তর ও পশ্চিম পাশ থেকে বয়ে গেছে হাফেজ প্যদার খাল। গার্ডার ব্রীজ অথবা কালবার্ট না থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় চড়ম ভোগান্তিতে। এছাড়া দুইটি টিনশেড ভবন ঘূর্নিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পাঠদান বন্ধ হওয়ার উপক্রম। তিনরুমের একতলা একটি ভবন থাকলেও বর্তমানে নাজুক অবস্থা। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা দাখিল মাদরাসার এমন বেহালদশা।

সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে ১৯৮০ সালে এই মাদ্রাসাটি স্থাপিত হয়। যার ই.আই.এন.নং- ১০২৩৮২। ১৯৮৬ সালে এটি এম.পি.ও ভুক্ত করা হয়। যার কোড নং- ৬৬০৪০৪২১০৩। বর্তমানে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত প্রায় দুইশতাধিক ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। বর্তমানে মোট ১৪ জন শিক্ষক শিক্ষার্থী রয়েছে এবং শূন্য পদ রয়েছে ৯ টি। দুইটি টিনশেড ও তিন রুমের একতলা একটি ভবনে চলছিল শিক্ষা কার্যক্রম। ঘুর্নিঝড় রেমালে ভেঙ্গে যায় টিনশেড ভবন দুটি। একটি ঘর কিছুটা সংস্কার করা হলেও অন্যটি মুখ থুবরে পড়ে আছে। ২০০২ সালে নির্মিত হওয়া পাকা ভবনটি এখন জরাজীর্ন অবস্থায় আছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্খিত দুঃর্ঘটনা।

মাদ্রাসার দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান মীম, তনিমা ও নেসার উদ্দিন রাশাদ বলেন, আমাদের মাদ্রাসায় গভীর নলকূপ নেই। বিশুদ্ধ পানি পানের জন্য অনেক দূর যেতে হয়। ভবনের অবস্থা খুব খারাপ আমাদের ক্লাশ করতে অনেক কষ্ট হয়। পাকা সড়ক না থাকায় বর্ষা মৌসুমে সময়মত আমরা ক্লাশে আসতে পারিনা।

নবম শ্রেনীর মুনিয়া, লিমন এবং সুমাইয়া মীম জানান, উত্তর ও পশ্চিম পাশে খাল থাকায় আমাদের নৌকা এবং বাশের সাকো পার হয়ে মাদ্রাসায় আসতে হয়। প্রায়ই আমরা দুঃর্ঘটনার স্বীকার হই। কমন রুম না থাকায় ছাত্রীদের অনেক অসুবিধা হয়। শৌচাঘরটি অপরিস্কার এবং ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি (ল্যাব) রুম এবং কমপিউটার না থাকায় আমরা আধুনিক শিক্ষা সম্পর্কে কিছুই জানতে পারছিনা।

স্থানীয় বাসিন্দা এবং অভিবাবক সোহেল খান ও সোহরাব আকন বলেন, মাদ্রাসার ভবন অনেক ঝুকিপূর্ন। বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ার পর কোন সংস্কার করা হয় নাই। গভীর নলকূপ নেই। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না। প্রায় অর্ধশত বছরেও উন্নয়ন হয় নাই এ মাদ্রাসায়। তারা মাদ্রাসায় নতুন ভবন নির্মানের দাবি জানান।

মাদ্রাসার সুপার মো. আ. গফফার জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানটির শৌচাঘর, গভীর নলকূপ, যাতায়াত ব্যবস্থা, ঝকিপূর্ন ভবন সহ অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একটি ভবন নির্মানের জন্য জোর দাবি জানান।

উপজেলা মাধ্যমিক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.মনিরুজ্জামান খান বলেন, সরকারি-বেসরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন, মেরামত, সংস্কার ও আসবাব পত্র সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনায় প্রতিষ্ঠানের প্যাডে সকল তথ্য উপজেলা মাধ্যমিক অফিসে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement
Advertisement