মোর্শেদ মারুফঃ
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানার ইছাক মিয়া হত্যা মামলার ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও হত্যার বিচার পাচ্ছে না ভুক্তভোগী পরিবার ।প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রধান আসামি আওয়ামীলীগের দোসর আইয়ুব আলী।
জানা যায়, বাজিতপুরের সরিষাপুর এলাকায় সবুজ মিয়ার ভিটায় ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই রাতে ইছাক মিয়াকে তুলে নিয়ে অভিযুক্ত প্রধান আসামি আইয়ুব আলী ও তার সহযোগী ফারুক মিয়াসহ অজ্ঞাত ৩ জন মিলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। এলাকাবাসী ইছাককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। মেয়ে আকলিমা বেগম স্ত্রী কুশনা বেগম হাসপাতালে গেলে ইছাকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে।
এ বিষয়ে মৃত ইছাক মিয়ার মেয়ে আকলিমা বেগম বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় আইয়ুব আলী ও ফারুক মিয়ার নামসহ অজ্ঞাত ৩ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন, বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়নের তাতালচরের মৃত আব্বাছ মিয়ার ছেলে আইয়ুব আলী (৫০) ও একই এলাকার মৃত নিয়াজত আলীর ছেলে ফারুক মিয়া(৪২)।
নিহতের স্ত্রী কুশনা বেগম জানায়, দীর্ঘ ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও স্বামী হত্যার বিচার পাচ্ছে না ।প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আসামিরা।
তিনি আরও জানান, আইয়ুব আলী একজন আওয়ামী লীগের দোসর সে সময় সাবেক এমপি আফজাল হোসেনের ছত্রছায়ায় টিআর/কাবিখা/কাবিটা ও ভিজিএফের চাল ব্যবসার নামে লোক ঠকিয়ে ও দুর্নীতি করে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অঢাল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। এখন সে বিএনপি নেতা কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি শরিফুল আলমের সাথে সখ্যতা করে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। থানা পুলিশ তাকে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে দেখলেও গ্রেফতার করছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, সরকার পতনের আগে আওয়ামী লীগের সাথে নানা অপকর্ম করে এখন বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে। আইয়ুব আলী মূলত হুন্ডি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত । সিন্ডিকেট প্রধান দিলালপুরের ছেলে সৌদি প্রবাসী সানাউল্লাহ ও জাহাঙ্গীরের সাথে অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। টাকার বিনিময়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এজাহার ভুক্ত আসামি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে আমাদের কন্ঠের সাংবাদিক জানতে চাইলে বাজিতপুর থানার ওসি মুরাদ হাসান জানান, ইছাক হত্যা তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, প্রমাণিত হলেই আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।