ফুটপাত দখলমুক্ত চায় কালীগঞ্জ পৌরবাসী

মোঃ মহিউদ্দীন,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার  পৌর এলাকার মেইন বাসস্ট্যান্ড থেকে শহরমুখী কালিবাড়ি মোড়ের তেমাথা এবং কালিবাড়ি থেকে থানা রোড। অপরদিকে কালিবাড়ি থেকে নলডাঙ্গা এবং হাসপাতাল সড়কের দুপাশের ফুটপাত এবং রাস্তার অনেকটা স্থানজুড়ে দীর্ঘদিন ধরে হকারদের দখলে রয়েছে । অবৈধভাবে ফুটপাত দখল এবং রাস্তার উপরে তিন স্তরের দোকান বসিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করাই সাধারণ মানুষের চলাচল ও যান চলাচলে ব্যাপকভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল এবং রাস্তার উপর দোকান বসানোর নেপথ্যের কারিগর ছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বলে অভিযোগ করেন বাজারের সাধারণ ব্যাবসায়ীরা।

কালিগঞ্জ পৌর বাজার ব্যবসায়ী সমাজ  এবং সাধারণ জনগণের প্রতিনিধিরা ইতিপূর্বে উপজেলা প্রশাসন, পৌর কর্তৃপক্ষ এবং রাজনৈতিক নেতাদের পেছনে বারবার  ধারণা দিয়েও ফুটপাত এবং রাস্তা দখল মুক্ত করতে পারেননি।এমনকি গত ২৮ আগস্ট সর্বশেষ  উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হলেও বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন এখনো লক্ষ করা যাচ্ছে না। ইতিপূর্বে ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত করতে না পারার পেছনে উপজেলা প্রশাসন এবং পৌর কর্তৃপক্ষ বরাবরই রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সদিচ্ছাকেই দায়ী করেছেন।

১৪  আগস্ট হঠাৎ করে পৌরসভার প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর একটি দল ফুটপাত দখল করে ব্যবসা পরিচালনাকারীদেরকে ফুটপাত এবং রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য ২৪ ঘন্টার মৌখিক নোটিশ দিতে দেখা যায়। এরপর সেখানকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে তার কার্যালয়ে যেয়ে কথা বলেন। সেখানে ফুটপাত এবং রাস্তা দখল করে ব্যবসা পরিচালনাকারীরা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পৌর কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় একটি নির্দিষ্ট স্থানে তাদেরকে স্থানান্তরিত করলে তারা রাস্তা এবং ফুটপাত ছেড়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। ওই ঘটনার পর ২৫ দিন পার হলেও পৌর কর্তৃপক্ষের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

আদৌকি কালিগঞ্জ পৌর এলাকার বাজারের ফুটপাত এবং রাস্তা দখলমুক্ত হবে? দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও পৌর কর্তৃপক্ষ কি নীরব থাকবে? এমন অনেক প্রশ্ন পৌরবাসী এবং ব্যবসায়ীদের মনে শংকার জন্ম দিচ্ছে।

রাস্তার উপর বসা ডাব বিক্রেতা মোক্তার হোসেন বলেন,আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার  স্যারের সাথে কথা বলে আসছিলাম।স্যার পৌর কর্তৃপক্ষকে একটা নির্ধারীত স্থানে আমাদেরকে স্থানন্তরিত করে দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছিল। এরপর পৌরসভা থেকে  আর আমাদেরকে কিছু জানায়নি।আমরা গরিব মানুষ, আমাদের অন্যত্র বসার জাইগা না করে যদি উচ্ছেদ করা হয় তাহলে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরবো।

কালীগঞ্জ পৌর প্রশাসক এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ইলিশায় রিছিলের মুঠোফোনে বাজারের বিভিন্ন সড়কে ফুটপাত এবং রাস্তা দখলমুক্ত করার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে পূর্বে কি ঘটেছে আমি তা জানি না। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পুলিশ প্রশাসনের সাথে আমি এ ব্যাপারে কথা বলব। জনদূর্ভোগ কমাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফুটপাত এবং রাস্তা দখল মুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *