বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়া বিমান বন্দর চালুর বিষয়ে বাহিনীর প্রধান হাসান মাহমুদ খান আজ দুপুরে বগুড়া বিমান বন্দর পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি বলেন বগুড়া এয়ারপোর্ট চালু করতে হলে সর্বনিম্ন ৬ হাজার ফুট রানওয়ে প্রয়োজন, তবে এখন ৪৭০০ ফুট রানওয়ে রয়েছে। এর সাথে আরো প্রায় দেরহাজার ফুট যুক্ত করা গেলে ছোট বিমানগুলো ওঠানামা করতে পাড়বে। তবে বড় বিমান চালু করতে হলে ৮ হাজার ফিট রানওয়ে প্রয়োজন। এসময় তিনি আরো বলেন উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য বিমান বন্দরগুলোর তুলনায় বগুড়া বিমানবন্দর বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এটি চালু হলে অর্থনৈতিক পরিসর আরও সম…দ্ধ হবে।
হাসান মাহমুদ খান আরো বলেন, এই বিমান বন্দর নিয়ে আগের সরকারকে একাধিকবার প্রস্তাব দিলেও কোনো গুরুত্ব দেয়নি তারা। আমরা নতুন করে বর্তমান সরকারকে প্রস্তাব দিব। বাজেট পেলেও স্বল্প পরিসরে চালু করতে কমপক্ষে এক থেকে দের বছর সময় লাগবে। তবে এই সরকার যদি প্রস্তাব গ্রহন না করে তাহলে নির্বাচিত সরকার পর্যন্ত আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে।
এসময় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বেবিচক এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়াসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বগুড়া জেলা প্রশাসক মোছাঃ হোসনা আফরোজা, পুলিশ সুপার জেদান আল মুসাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠান শেষে এসময় বিমান বাহিনীর ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টরস স্কুল পরিদর্শনকালে বিমান বাহিনী প্রধান স্থানীয় শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করেন। এছাড়ও, বগুড়ায় অবস্থিত বিমান বাহিনীরে রাডার ইউনিটে বিমান বাহিনী প্রধানের সহধর্মীনি ও বিমান বাহিনী মহিলা কল্যান সমিতি (বাফওয়ার) সভানেত্রী সালেহা খান বগুড়ায় অব¯ি’ত সকল ঘাঁটি, ইউনিট, স্টেশন এবং আশপাশের শীতার্ত মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরন করেন।
উল্লেখ, ২০০৫ সালের ১২ মার্চে বগুড়া বিমান বন্দর খোলা হয়। কিন্তু বৈষম্যজনিত কারনে বিগত প্রায় ২০ বছরে এটি পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু করা হয়নি। এখানে শুধু ট্রেনিং বিমানগুলো ওঠা নামা করতে পারে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় আপাতত কোন কাজ না করেই এই বিমান বন্দরের কর্মীদের বেতন দেওয়া হয়।