বগুড়া প্রতিনিধি:
‘আল্লাহর কালামের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া একটা বড় নেয়ামত। যারা হাফেজ হয়েছেন তাদের অভিভাবকদের উচিৎ তাদের প্রতি দৃঢ় নজর রাখা। কারণ অনেক হাফেজ চর্চা ছেড়ে দিয়ে বিপথে চলে যায়। মৃত্যুর পর্ব পর্যন্ত যাতে আমাদের হাফেজরা কোরআনের সাথে থাকতে পারেন এজন্য খেয়াল রাখতে হবে। শুধু আপনারদের সন্তরাই কোরআনের সাথে থাকলে চলবে না প্রিয় অভিভাবকদেরও কোরআনের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। সবাই যখন আল্লাহর এই নেয়ামতের সাথে একাত্নতা হবেন তখননি আমাদের শ্রোম সার্থক হবে। তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা আপনার সন্তানকে কোরআনের আলোকে গড়ার দায়িত্বপালন করে যাচ্ছে’। তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা বগুড়ার আয়োজনে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ মোহাম্মদ ইকবাল।
বগুড়ার শহীদ টিটু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত তিনদিন ব্যাপি আয়োজনের উদ্বোধন হয় রোবার সকাল ৮টায়। অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক ড. আহসান হাবিব ইমরোজ বলেন, ‘এক সময় মুসলমানরা এক হাজার বছর পৃথিবী শাসন করেছে। ইমাম বোখারি, ইবনেসিনাসহ অসংখ্য গুনীজন ছিলেন মুসলিম জাহানের কান্ডারি। তারা সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে মেধাবী ছিলেন। তারা জমিনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জ্ঞান বহু কষ্টে নিজের মধ্যে আয়ত্ব করেছিলেন। এখন জ্ঞান অর্জন করা সহজ। একটি প্রতিষ্ঠিানের মাধ্যমেই আরবি ইংরেজি অংক বিজ্ঞান সব শেখা যায়। তানযীমুল উম্মাহ মাদরাসা দীর্ঘ ২৫ বছরধরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানে আপনার কোমলমতি সন্তান একেকজন একেকটি রজনী গন্ধা ফুল’।
অনুষ্ঠানে তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আলমগীর হোসেন, তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা রংপুর শাখার অধ্যক্ষ হাফেজ মহিউদ্দিন। সরকারি আজিজুল হক কলেজের আরবি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আব্দুল লতিফ। বগুড়া জামিল মাদ্রাসার সহকারি প্রধান মাওলানা আতাউল্লাহ নিজামী। তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা রাজশাহী শাখার অধ্যক্ষ মাসউদুর রহমান। গাইবান্ধার বোয়ালী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইনামুল হক মাদানী। শিল্পী এনামুল হকের উপস্থাপনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা শাহ আলম, মাওলানা নাজমুল হাসান মিজান, আবু সাঈদ, হাফেজ আতাউর রহমান, হাফেজ শাহাবুদ্দিন সরকারসহ তানযীমুল উম্মাহ মাদরাসার শিক্ষক, অভিভাবকবৃন্দ।
উল্লেখ্য তানযীমুল উম্মাহ বগুড়ায় তাদের ৫টি ক্যাম্পাসে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীদের ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি ইংলিশ, বিজ্ঞান এবং গণিতে সর্বচ্চো গুরুত্ব দিয়ে লেখাপড়া করানো হয়। ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি বগুড়া তথা উত্তরাঞ্চলের মানুষের প্রিয় প্রতিষ্ঠানের তালিকায় উঠে এসেছে। প্রতি বছর তারা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য বার্ষরিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। এসব অনুষ্ঠানে বিজয়ী এবং লেখাপড়ায় ভালো করা শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।