মোঃআসাদুজ্জামান, বরগুনা
চলতি মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের জেলা বরগুনা সদরে আমনের ব্যাপক ফলন হয়েছে। এবছর আবহাওয়া অনূকুলে না থাকার পরেও আশানুরুপ আমন ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। তবে ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে আশংকা প্রকাশ করছেন কৃষক। এছাড়া কিছু কিছু এলাকায় শ্রমিক সঙ্কট থাকায় ধান কাটতে বিলম্ব হচ্ছে। এতে জমিতে পাকা ধান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠে আমন ধান কাটার ধুম পড়েছে। দিগন্তজোড়া মাঠের সোনালি ধান কাটা, মাড়াই ও ঘরে তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কাটা ধানের আঁটি বেঁধে মাথায় করে কেউবা পরিবহনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন তারা।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে বরগুনা সদর উপজেলায় ২৫ হাজার ৯’শ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। এ মৌসুমে আমনের আবাদ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে। এছাড়া মৌসুমে ৮ হাজার কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে উন্নত জাতের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করেছে কৃষি বিভাগ।
এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের পালের বালিয়াতলী গ্রামের কৃষক আবদুল বারেক জানান, এ মৌসূমে অতি বৃষ্টির ফলে বীজতলা পঁচে যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন উপায়ে বীজ সংগ্রহ করে তা রোপন করি। নিয়মিত পরিচর্যা, সময়মতো সার ও কীটনাশক প্রয়োগের ফলে এ মৌসূমে আমনের ফলন ভালো হয়েছে। তবে শ্রমিক সঙ্কট থাকায় জমি থেকে ধান কাটতে সময় বেশি লাগছে। তিনি আরও বলেন, গত মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে আমনের ফলন ভালো হয়নি। এ বছর পোকার আক্রমণ কম হওয়ায় অধিক ফলন হয়েছে। যদি ধানের ভালো দাম পাওয়া যায় তবে, লাভবান হবো।
উপজেলা কৃষি অফিসার সানজিদ আরা শাওন বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে এ অঞ্চলের কৃষক আমন আবাদে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। কৃষক বিভিন্ন উপায়ে বীজ সংগ্রহ করে আমনের আবাদ করেছে। এছাড়াও এ মৌসূমে বরগুনা সদর উপজেলায় ৩১ টি বøকে ২৮ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা স্থানীয় কৃষকদের উন্নত জাতের বীজ ও কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এ মৌসূমে আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের স্বপ্নপূরন হয়েছে।