বেনাপোলে দুই উপ-পরিচালক দুর্নীতির ও তথ্য পাচার অভিযোগে বরখাস্ত

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

আমাদের কণ্ঠ প্রতিবেদকঃ

দুর্নীতি, অনিয়ম এবং স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, দপ্তরের শৃঙ্খলা ভঙ্গ, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারসহ নানা অভিযোগে বেনাপোল স্থলবন্দরের দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও দায়ের করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মকর্তাই উপ-পরিচালক পদমর্যাদার। তারা হলেন উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মনিরুল ইসলাম এবং উপ-পরিচালক (প্লানিং) মো.কবির খান। ৯সেপ্টেম্বর সোমবার স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দপ্তর থেকে বিষয়টি জানা যায়।

জানাযায়, কাস্টমসের কতিপয় কর্মকর্তা ও কতিপয় অসাধু সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের যোগসাজশে ওজন স্কেলে ডিজিটাল কারচুপি করে প্রতি ট্রাকে প্রতিদিন দুই থেকে তিন টন পণ্যের ওজন কম দেখানো হতো। প্রতি টন পণ্যের শুল্কায়ন ছিল ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। সেই হিসেবে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিত ওই চক্র। আর ফাঁকি দেওয়া সেই রাজস্ব তিনটি জায়গায় আনুপাতিক হারে বণ্টন হতো। এভাবে প্রতি মাসে ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় ওই অসাধু চক্রটি।

বন্দর সূত্র জানায়, মনিরুল ইসলাম ২০২২ সালের ১ অক্টোবর যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে যোগ দেন। সেই সময় থেকেই তিনি ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা পচনশীল পণ্য ওজনে ডিজিটাল কারচুপি শুরু করেন। ভারত থেকে সেই সময় প্রতিদিন গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ ট্রাক পচনশীল পণ্য যেমন, মাছ, ফল, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, টমেটো, আলু ইত্যাদি আসত। মনিরুল ইসলাম ছাত্র থাকাকালীন ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন বলে তিনি নিজেকে পরিচয় দিতেন। এই পরিচয়ে তিনি লাগামহীন দুর্নীতি করে বারবার পার পেয়ে যান। তাঁর অত্যাচারে অফিসে সবাই ভয়ে ভয়ে থাকতেন। সূত্র আরো জানায়, মনিরুল ইসলাম বেনাপোল থেকে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া টাকার একটি অংশ পৌঁছে দিতেন উপ-পরিচালক কবির খানের কাছে। তাদের যোগসাজশে এই চক্র ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। কিন্তু তাদের সেই অপকর্ম প্রকাশ হয়ে পড়লে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয় সংশ্লিষ্ট দফতর।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম জানান, বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক পত্রে গত ২১ আগস্ট জানানো হয়, ওজন স্কেলে কারচুপির মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন, দুর্নীতি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে গ্রুপিং, অফিসিয়াল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার ইত্যাদির কারণে উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মনিরুল ইসলাম এবং উপ-পরিচালক (প্লানিং) মো. কবির খানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ সাময়িক বরখাস্ত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *