স্টাফ রিপোর্টার:
বাগেরহাটের একটি ইউনিয়নে বিএনপির ওয়ার্ড নির্বাচনে এক পক্ষের বিজয় নিশ্চিতে দায়িত্বশীলদের অসাংগঠনিক তৎপরতা, ভাড়াটে লোকজন দিয়ে হামলা, সাধারণ ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা ঘটেছে। একই সাথে বিপুল সংখ্যক আওয়ামীলীগ কর্মী, ইসকন সদস্য, বহিরাগত এবং বিতর্কিতদের ভোটার তালিকাভুক্ত করার প্রতিবাদে বিএনপি এর পরীক্ষিত ত্যাগী, হামলা-মামলা এবং নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীরা এ একতরফা নির্বাচন বর্জন করেছন। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং পুরো ইউনিয়নে বিরুপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে গত ১৩ জানুয়ারি মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ০৭ নং হোগলাপাশা ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ডে ৫ আগস্ট ২০২৪ এর আগের বিএনপি নেতাকর্মীরা কেন্দ্র ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। অপরদিকে সুযোগ সন্ধানী ও সুবিধাবাদীদের দখলে ছিল এসব কেন্দ্রগুলো।
এ দিকে ০৯ নং মধুরকাঠি ওয়ার্ডে চিহ্নিত আওয়ামীলীগ কর্মী নাসির ফকিরকে একতরফাভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করায় তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ ব্যাপারে চরম ক্ষোভ- অসন্তোষ জর্জরিত নেতাকর্মীরা অবিলম্বে বিতর্কিত নির্বাচন বাতিল, প্রকৃত নেতা নেতাকর্মীদের সমন্বয় নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং প্রভাবমুক্ত নির্বাচন পুনরায় আয়োজন করাসহ নানা বিষয়ে বিএনপি’র জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের বরাবরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্বে লিখিত আবেদন করেছেন।
অভিযোগ আছে যে, উপজেলা বিএনপির একজন যুগ্ন আহবায়ক হওয়ার সুবাদে নিজের ইউনিয়ন হোগলাপাশার ০৮ টি ওয়ার্ডে ভোটের ফলাফল নিতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়েছেন। সদস্য সংগ্রহ থেকে ১৩ই জানুয়ারি ২০২৫ নির্বাচনের দিন পর্যন্ত ২ পক্ষের মধ্যে সমঝোতার নামে একসাথে মিটিং মিছিল আলোচনা চলতে থাকে। একপর্যায়ে সমন্বয়করাসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী স্বতঃস্ফূর্তভাবে একসঙ্গে মোড়েলগঞ্জে নেতৃবৃন্দের সামনে উপস্থিত হয়ে হোগলাপাশায় ২ পক্ষের মধ্যে সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে জানিয়ে দেন। কিন্তু সেই সমঝোতার আড়ালে নির্বাচনের দিন একটি পক্ষ ভুয়া ভোটার তালিকা এবং স্বদলবলে সবকয়টি কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব প্রাপ্তদের প্রকাশ্য সহযোগিত সমর্থন পেয়ে যান।
এ অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় ১নং ওয়ার্ড কেন্দ্রে মফিজুল হক এর সামনেই তার উশৃঙ্খল সমর্থকরা সদ্য সাবেক ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সমন্বয়কারী আতিকুর রহমান মিন্টু মল্লিক এর উপরে হামলা চালায়। এর আগে এই একই কেন্দ্রে একই স্টাইলে সদ্য সাবেক ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সাংবাদিক খেলাফত হোসেন খসরুকে তার অনুপস্থিতিতে হাত-পা ভেঙে এলাকা ছাড়া করার প্রকাশ্য হুমকি প্রদান করলেও সেখানে উপস্থিত জেলা, উপজেলা নেতৃবৃন্দ রহস্যজনক ভূমিকা পালন করেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বহুবার মুরগী চুরি করে ধরা পড়েছে এমন ব্যক্তির পদ-পদবীতে সম্ভাব্য ঠাঁই পাওয়া সম্পর্কিত সমালোচনা চলছিল।