খুলনা প্রতিনিধিঃ
৪৭ বছর পর প্রথম বারের মত সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ হবে খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব। আগামীকাল (২৪ ফেব্রুয়ারি) সার্কিট হাউস মাঠে দলের মহানগর শাখার সম্মেলন হবে। বিকেলে জেলা স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামে অনুষ্ঠিত ভোটে নির্বাচিত হবেন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক।প্রধান তিনটি পদে ১২ নেতা প্রার্থী হয়েছেন। ভোট দেবেন নগরীর পাঁচ থানার ৫০৫ কাউন্সিলর।
ভোটের মাধমে নেতা নির্বাচনের আয়োজন করায় বিএনপির তৃণমূল কর্মীরা উৎফুল্ল। যে নেতাদের এতদিন নাগাল পাওয়া কষ্টকর ছিল এখন তারাই কর্মীদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন।ক্ষমা চাইছেন নিজেদের ভুলভ্রান্তির জন্য। নির্বাচিত হলে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। নেতাদের নমনীয় এই রূপে খুশি কাউন্সিলররা।
খুলনা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে জানা যায়, মহানগর বিএনপির সভাপতি পদে বর্তমান আহ্বায়ক এস এম শফিকুল আলম মনা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম জহির এবং দৌলতপুর থানা বিএনপির সদস্য সাহাজী কামাল টিপু প্রার্থী হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন তিনজন। তারা হলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মাহমুদ আলী এবং মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর।
সম্মেলন ঘিরে দুশ্চিন্তা বিরাজ করছে নেতাদের মধ্যে। কারণ দলীয় পদের জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের তোষামোদি ও লিয়াজোঁতে ব্যস্ত বেশির ভাগ নেতা ছিলেন কর্মীবিচ্ছিন্ন। নগর আহ্বায়ক কমিটিতে পদ পেয়ে কার্যালয়মুখী হননি অনেকে। অনেক নেতার বিরুদ্ধে কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে। ভোটে এসব বিষয় প্রভাব ফেলবে কিনা, সেটি এখন ভাবাচ্ছে নেতাদের।
নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সভাপতি পদে শফিকুল আলম মনা ও তারিকুল ইসলাম জহিরের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ৮০ দশকের ছাত্রনেতা তারিকুল ইসলাম জহির দল ও সমাজের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি খুলনা মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, এবং সুন্দরবন কলেজের সাবেক নির্বাচিত ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ সকল ফয়সালার মালিক একমাত্র আল্লাহ,আশাকরি ভোটারদের সুবিবেচনায় সুচিন্তিত রায়ে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হব।