মৌলভীবাজারে কামাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, কাজ না করে টাকা লোপাট

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার :

জাতীয় দৈনিক আমাদের কণ্ঠ পত্রিকায় “মৌলভীবাজার গণপূর্তের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামাল হোসেন”-এর নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতির সংবাদ প্রকাশিত হবার পর থেকে তার একাধিক দুর্নীতির নমুনা একের পর এক বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছে। নির্বাহী প্রকৌশলীসহ তার সিন্ডিকেট-এর সাথে জড়িতদের সাথে একজোটবদ্ধ হয়ে লোপাট করেছে ২০২০-২০২১ ও ২০২৩-২০২৪ই অর্থ বছরের সংস্কার/ মেরামত ও আধুনিকায়ন কাজের বরাদ্ধকৃত কোটি কোটি টাকা। প্রতারণার কৌশল অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল।

 

বাবর এন্ড এসোসিয়েট- নামে ২০২৩-২০২৪ই অর্থ বছরে সংস্কার/ মেরামত কাজের নার্সিং ইনষ্টিটিউট-বক্ষব্যধি হাসপাতাল, মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালসহ একাধিক কাজের নামমাত্র কাজ দেখিয়ে প্রায় কোটি টাকা লোপাট করেছেন। একটি সুত্রে প্রকাশ- বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের মদদপুষ্ট ঠিকাদারদের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তুলে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ক্ষমতার দাপটে দীর্ঘবছর যাবৎ একই কর্মস্থলে কাজ করেছেন। স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর তার খোলস পাল্টে বিএনপি‘র সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের সাথে সক্রিয় হচ্ছেন। কাজ না করে টাকা লোপাট করার অভিনব প্রতারণার কৌশল কি ভাবে হয় এ সংক্রান্ত একাধিক ভিডিও এ প্রতিবেদক এর কাছে সংরক্ষন আছে।

 

সকল টেন্ডার আহবানকরণ, টেন্ডার উন্মুক্তকরণ, টেন্ডার মূল্যায়ন, লটারীকরণ, ঠিকাদার নির্বাচন, নোটিফিকেশন অব এওয়ার্ড প্রদান করে চুক্তি সম্পাদন সংক্রান্ত কাজগুলো নির্বাহী প্রকৌশলী‘র দপ্তর হতে কাগজে-কলমে সম্পন্ন হলেও মূল কারিগর হিসাবে রয়েছেন উপ-সহকারী প্রকোশলী মোহাম্মদ কামাল হোসেন।

 

মৌলভীবাজার গণপূর্তের একজন দায়িত্বশীল (তথ্য নিরাপত্তার স্বার্থে প্রকাশ অযোগ্য) কয়েকটি বিলসহ অফিসের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নিয়ে দেখা করেন এবং বলেন- এ টাকা উত্তোলন করতে হবে। যা উত্তোলন করা হবে, তার ৫০% করে ভাগ করে নেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে আরো বিলের টাকা উত্তোলন করা হবে। উল্লেখ্য- মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনস-এর রিজার্ভ অফিস সংস্কার/ মেরামত ও আধুনিকায়ন কাজের জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে অর্থ বরাদ্দ করা হয়। সেখানে বিল্ডিং এর চাদের জল চাদ ঢালাই না করে ১১ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। পছন্দের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার-এর বাংলোয় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সংস্কার/ মেরামত কাজের ১০ লাখ টাকা কোন কাজ না করেই উত্তোলন করেন। পুলিশ সুপার-এর বাংলোয়- সংস্কার/ মেরামত কাজ না করে বিল উত্তোলন। পুলিশ লাইনস-এর চলমান কাজে সমাপ্তি দেখিয়ে বিল উত্তোলনসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্ণীতির সংবাদ প্রকাশিত হলে টনক নড়ে একজোটবদ্ধ সিন্ডিকেটদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *