যেভাবে নির্ধারণ করা হয় ফিতরার পরিমাণ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন
Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

পাঁচটি পণ্যের ওপর ভিত্তি করে ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। সেগুলোর কথা ইসলামের নবী হাদিসে উল্লেখ করেছেন। এগুলো হচ্ছে আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনির। এসব পণ্যের যেকোনো একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যাবে। দেশের প্রতিটি বিভাগ থেকে এই পাঁচটি পণ্যের বাজারমূল্য সংগ্রহ করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এরপর এসব মূল্যের ওপর ভিত্তি করে ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।

রমজানে এ বছর বাংলাদেশে ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা ও সর্বোচ্চ ২৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফিতরা নির্ণয়ের কিছু নিয়ম নির্ধারিত আছে ইসলাম ধর্মে। একজন ব্যক্তি তার দুই হাতের তালু একত্রিত করে ধরার পর সেখানে যে পরিমাণ খাদ্য রাখা যাবে সেটি ফিতরা হিসেবে দিতে হবে। এই পরিমাণকে আর্থিক মূল্যে নির্ণয় বা পরিমাপ করা যাবে। পরিমাপ করার জন্য ‘অর্ধ সা’ এবং ‘এক সা’ মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে।

একমাত্র গম ও চালের ক্ষেত্রে ‘অর্ধ সা’ এবং বাকি চারটি পণ্যের ক্ষেত্রে ‘এক সা’ নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো ছিল প্রাচীন আরব পরিমাপের একক। পরবর্তীতে এটিকে কেজি ও গ্রামে রূপান্তর করা হয়েছে। ‘অর্ধ সা’ বলতে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম এবং ‘এক সা’ বলতে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বোঝানো হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলছে, মুসলমানগণ নিজ নিজ আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী এসব পণ্যের যেকোনো একটি পণ্য বা এর বাজারমূল্য দ্বারা ফিতরা দিতে পারবেন। ইসলামের বিধান মতে, প্রতিটি সচ্ছল মুসলিম ব্যক্তি, যার প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য আছে সেটির ওপর ভিত্তি করে ফিতরা প্রদান বাধ্যতামূলক। এটি নিজের জন্য দেওয়ার পাশাপাশি তার ওপর কেউ যদি নির্ভরশীল থাকে তাদের জন্যও দিতে হবে। যেমন–মা, বাবা, স্ত্রী, সন্তান। একটি পরিবারের কর্তা বা অভিভাবক তাদের নিজের জন্য এবং তার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য ফিতরা দেবেন। এটি ইসলামে বিধান।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিস্তারিত জানতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Advertisement
Advertisement