সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে কাজের দরপত্র নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক একেএম আজাদ সরকার ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী হানিফ আহমেদের যোগসাজসে এ দুর্নীতি হচ্ছে বলে স্থানীয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মালিকরা দাবী করেন। তাদের দাবী উপ-পরিচালকও উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে নিজেদের মনগড়া ভাবে কাজের সিডিউল তৈরী ও বিক্রয় করছেন বলে জানা গেছে। তবে আনিত অভিযোগের আংশিক সত্যতা স্বীকার করেছেন এ দুই কর্মকর্তা।
জানা গেছে, আগামী ১৫ জানুয়ারি মাসব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলা ও লোকজন উৎসবকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কাজের জন্য দৈনিক দেশরূপান্তর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ২১নভেম্বর থেকে কাজের সিডিউল বিক্রির কথা। বিজ্ঞপ্তি দেখে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মালিকরা ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে নানা অজুহাতে একের পর এক সিডিউল বিক্রির সময় দিতে থাকে। অবশেষে নানা নাটকীয়তার পর গত ২ডিসেম্বর থেকে কাজের রেট কোর্ড ছাড়াই সিডিউল বিক্রি শুরু করেন। নিজেদের পছন্দের একটি চক্রকে কাজ পাইয়ে দিতেই উপ-পরিচালক ও উপসহকারী প্রকৌশলীর যোগসাজসে এ পক্রিয়ায় সিডিউল তৈরী করেছেন বলে একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে। এনিয়ে ওই চক্রের সদস্যদের সাথে ফাউন্ডেশনের এ দুই কর্মকর্তা একাধিক সভা করেছেন বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মালিক জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদারী কাজ করে আসছেন। ইতিপূর্বে ফাউন্ডেশনের অব্যন্তরেও ঠিকাদারী কাজ করেছেন। তবে রেট কোর্ড ছাড়া তিনি সিডিউল বিক্রি করতে দেখেননি। রেট কোর্ড ছাড়া বিক্রি করার বৈধ্যতা থাকলেও ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ গোপনে কাজের রেট কোর্ড পছন্দের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দিলে অন্য সকল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মালিকগন বঞ্চিত হবেন। এজন্য রেট কোর্ড দিয়ে দিলে আমার মনে হয় স্বচ্ছ হতো।
এব্যাপারে ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক একেএম আজাদ সরকার ও উপসহকারী প্রকৌশলী হানিফ আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে দেরিতে সিডিউল বিক্রি করার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে কোনো অনিয়ম করা হয়নি বলে দাবি করেন।